এত লোক গরমের বা শীতের ছুটিতে বাড়িতে এসেছে যে মাটিতে বিছানা। ঠেলাঠেলির মধ্যে বাচ্চাগুলোর ভূতের গল্প শোনা। দুপুরবেলায় সবাই ঘুমালে চুরি ক’রে তাদের কুলের আচার খাওয়া।
দুই বোন। কিন্তু সবুজ রংঙের মিষ্টি মিষ্টি গন্ধের ইরেজার একটা। তাই দিয়েই পেন্সিলের আঁক মোছে ওরা। জীবনের দাগ মোছে। জীবনের সবকিছুই ভাগাভাগি করে।
এই মানুষগুলো সারা জীবন ধরে একজন আরেকজনের কাছাকাছি এসেছে, একসাথে হেসেছে, একসাথে কেঁদেছে। একজন আর একজনের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছে। শুধু আফসোস একটাই। কোন এক ফাঁকে বরফে মোড়া পাহাড় দেখতে যাওয়া হয় নি ওদের কোনদিন।
সন্ধ্যার অপসৃয়মান সূর্যের আলোর মত এইসব অনেক অনেক মানুষ দিয়ে গাঁথা পরিবারগুলো আজ হারিয়ে যাচ্ছে পৃথিবী থেকে। কাকা, কাকী, মামা, মাসীর হাত ধরে আর বেড়ে ওঠা হয় না। জীবনের বিশাল বৃত্তটি হারিয়ে গিয়ে শুধু নিজেকে কেন্দ্র করে পড়ে আছে নি:সঙ্গ কেন্দ্রবিন্দু।
যখন খুশী বন্ধুরা আসে। সদর দরজা সারাদিন খোলা। বারান্দায় একসাথে এক্কা দোক্কা খেলে সবাই মিলে। মাধবীলতা বাতাসে দুলতে থাকে। ছাদে গিয়ে ঘুড়ি ওড়ায় ওরা। ঘুড়ির ফিনফিনে কাগজের নানা রঙে আকাশে উড়ে বেড়ায় স্বপ্নের ছেলেবেলা।
পায়ে পায়ে হেঁটে যায় এক সাথে শহীদ মিনারের দিকে। একশ' জন মিলে করে গানের অনুষ্ঠান। ঘেঁষাঘেঁষি করে পাশাপাশি বসে। বহুবছর পরেও সেই উত্তাপ শরীরে লেগে থাকে।
শুধুমাত্র জীবনে অসংখ্য মানুষের পায়ের ছাপের জন্যই মানুষের দমবন্ধ হয়ে যায় না। মানুষই মানুষের শেষ খড়কুটো।
Comments
Post a Comment